জ্ঞানের সাম্রাজ্য ২৪ ঘন্টা
জ্ঞানের রাজত্বে আপনাকে স্বাগতম। বিভিন্ন ধরণের অজানা তথ্য এবং জ্ঞান পেতে, এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে পাশে থাকুন।
আপনি জানেন কি বাংলাদেশে এখন শিক্ষিত বেকারের হার কত?
বিলিয়নিয়ার জে কে রাউলিং এর সফলতা গল্প। পড়লে আপনিও অনুপ্রাণিত হবেন 🥰
জে কে রাউলিং: পৃথিবীতে লেখালেখি করে প্রথম বিলিয়নিয়ার বনে যাওয়া লেখিকা জে কে রাউলিং। রাতারাতি জনপ্রিয়তা পাওয়া এ লেখিকার ক্যারিয়ারের শুরুটা মোটেই সহজ ছিল না। প্রথমবার তিনি যখন ‘হ্যারি পটারের’ পান্ডুলিপি নিয়ে একটি প্রকাশনীতে যান প্রকাশনীর মালিক তো হেসেই উড়িয়ে দিয়েছে তাকে এবং তার সৃষ্টিকর্মকে।
অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের উপর বিশ্বাস অটুট রেখে বিভিন্ন প্রকাশনীর দ্বারে দ্বারে পাণ্ডুলিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। কিন্তু হায়! তেরোজন প্রকাশকের কাছ থেকে প্রত্যাখাত হয়েছেন তিনি। তারপরেও থেমে যায়নি, পুনরায় নব উদ্যমে কাজ করে গেছেন বলেই হ্যারি পটার সিরিজ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সাহিত্য জগতের সর্বোচ্চ আসন থেকে কেউ তাকে সরাতে পারেনি।
১৯৯৭ সালে বই প্রকাশের সাথে সাথেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে যান এই লেখিকা। সারা পৃথিবী ব্যাপি বইটির মিলিয়ন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। হ্যারি পটার সিরিজ শুধু বই হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, তা নিয়ে সিনেমা হয়েছে এবং লাখো মানুষের হৃদয় জয় করেছে জে কে রাউলিং। পেয়েছেন অনেক পুরষ্কারও।🧧
সফলতার মূল মন্ত্র কি? আসুন জানি ;
আমরা প্রত্যেকেই সফলতা অর্জন করতে চাই।তাই সফলতা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্র নিম্নরূপ আলোচনা করা হলো :-
১.প্রচুর বই পরতে হবে। সেসব বই পরবেন যেগুলো বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে। সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্যেই বই পরলে চলবে না। বই পড়া হওয়া উচিৎ জ্ঞান অর্জনের জন্য। আর বিশ্বের বড়ো বড়ো ধর্মগ্রন্থগুলো পরে ফেলতে হবে, তাহলে আপনি ধর্মের চাল সম্পর্কে বোঝতে পারবেন।
২.অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা জীবনে নানান অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়, যা থেকে যদি আমরা শিক্ষা নিতে পারি তাহলে আমাদের সফলতা সুনিশ্চিত।
৩.কাওকে অন্ধ বিশ্বাস করবেন না। আমি যাদের সব থেকে বেশি বিশ্বাস করেছি, সব থেকে বেশি ভালোবেসেছি তারাই আমাকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করে নিয়েছে, যেটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
৪.কাওকে এমন গোপন তথ্য শেয়ার করবেন না, যা আপনার ক্ষতি করতে পারে। এইকথাগুলো শেয়ার করলে মানসিক চাপ কমে না বরং বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তখন আপনার মাথায় এই টেনশন থাকবে, এই কথাটি যদি ও কাওকে বলে দেয়।
৬.দূর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। যেমনঃ আসিফ আর আরিফ দুই ভাই। আাসিফ পড়াশুনা না করে ফোনের মাধ্যমে সারাদিন ফ্রী ফায়ার গেম খেলে। কিন্তু আরিফ একই ফোনের মাধ্যমে গেম না খেলে ইংরেজি ভাষা শিখছে।
৭.রিক্স নিতে ভয় না পাওয়া। যেমনঃ শাহিন এবং শাকিল ছিলো বেস্ট ফ্রেন্ড। তারা দুইজন একই মেয়েকে পছন্দ করে ফেলে। যদি না করে দেয়, শাকিল এই ভেবে প্রপোজ করতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু শাহিন রিক্স নিয়ে মেয়েটিকে প্রপোজ করে দেয়। আর মেয়েটি রাজি হয়ে যায়।
৮.পরিশ্রম করা। পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। পরিশ্রম ছাড়া কেও উন্নতি করতে পারে না। জীবনে যারা সফল হয় তাদের মূলে ছিলো কঠোর পরিশ্রম। পরিশ্রম ছাড়া ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে না।
৯.মানসিক দৃঢ়তা- বাস্তবমুখী কর্মপন্থা নির্ধারণ করুন। অবাস্তবমুখী কর্মপন্থা এড়িয়ে চলুন। সৃজনশীল কাজকে প্রাধান্য দিন। বাজে কাজ, সঙ্গ, ছবি, স্থান, কথা, চিন্তা ইত্যাদিকে না বলুন।
১০.ভালোলাগা- প্রেম, ভালোবাসা, সম্মান- কে করল আর কে করল না সেগুলি মোটেও মাথায় আনবেন না।
১১.জ্ঞান অর্জন- শিক্ষিতদের কাছ থেকেই শিক্ষা নিন, অভিজ্ঞদের এবং ব্যর্থদের কাছ দিক্ষা নিন। যা আপনার চলার পথে শক্তি যোগাবে।
১৩.যা এড়িয়ে চলবেন- বিপরীত লিঙ্গ (অর্থাৎ ছেলে হলে মেয়ে বা মেয়ে হলে ছেলে), মন্দ লোক, মন্দ কাজ, অসত্ সঙ্গ, বাজে ছবি, মন্দ কথা ও চিন্তা, দীর্ঘ সময় টিভি দেখা, ইত্যাদি।
মানুষ কেন সফল হতে চায়?
মানুষ সফল হতে চায়—এই চাওয়ার পেছনে কিছু গভীর ও মানবিক কারণ আছে। এখানে কিছু মূল কারণ দেওয়া হলো:
অস্তিত্বের অর্থ খোঁজা: মানুষ চায় তার জীবনের একটা উদ্দেশ্য থাকুক। সফলতা অনেক সময় সেই উদ্দেশ্যের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয়।
সমাজে স্বীকৃতি পাওয়া: আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে সফল মানুষকে সম্মান ও গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই স্বীকৃতি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনেককে সফল হতে তাড়িত করে।
অর্থনৈতিক নিরাপত্তা: সফলতা মানে অনেকের কাছে আর্থিক স্বাধীনতা, যা পরিবার ও নিজের জন্য ভালো জীবন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস: নিজেকে প্রমাণ করার আকাঙ্ক্ষা—এই অনুভূতি অনেক মানুষকে সফল হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়।
পরিবার বা প্রিয়জনদের জন্য কিছু করতে পারা: প্রিয় মানুষদের ভালো রাখতে, তাদের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করতে চাওয়াও অনেক বড় মোটিভেশন।
তাই সফল হতে চাইলে, কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে।নিজে কাজ মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।ভালো কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
তুমি কি নিজের জীবনে সফলতা নিয়ে কিছু ভাবছো এখন?
ফ্রিল্যান্সিং জগতে সর্বোচ্চ জনপ্রিয় এবং পছন্দনীয় সেক্টর কোনটি?
ফ্রিল্যান্সিং জগতে আমার কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় সেক্টর হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।বেশ কিছু কারণে,ডিজিটাল মার্কেটিং আমার কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় এবং জনপ্রিয় সেক্টর বলে মনে হয়েছে।
নিম্নরুপ আলোচনা করা হলো:-
সাধারণত কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে অথবা যেকোন উপায়ে প্রোডাক্ট এর ভালো দিক
তুলে ধরে সেগুলো মানুষের কাছে বিক্রি করাকে মার্কেটিং বলে।
অর্থাৎ যেকোন উপায়ে প্রোডাক্ট কোন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করার জন্য মার্কেটিং করা হয়। ঠিক একইভাবে ইন্টারনেট, ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে
কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে সেগুলো বিক্রি করার কৌশলকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
মূলত ইন্টারনেট ও ডিজিটাল টেকলোজি ব্যবহার করে মার্কেটিং এর সমস্ত কাজ করে থাকে।যার কারণে এটি অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় সহজ। এবং খুব তাড়াতাড়ি ইনকাম করা যায়।
👍 ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?
যারা মার্কেটিং সর্ম্পকে জানেন, তারা সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছেন। মার্কেটিং এর প্রধান কাজ হচ্ছে, কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পৌছানো।
👍 যত সহজে বেশি মানুষের কাছে প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে মানুষ প্রোডাক্ট কেনার জন্য উৎসাহিত হবে এবং আপনার প্রোডাক্ট তত বেশি সেল হবে।
এ রকম আরো অনেক করণে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা,
আমি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাই।
সেই জন্য আমি দিন-রাত কঠোর ভাবে পরিশ্রম করছি।
।সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।
।
।
।
Most popular post
-
আমরা প্রত্যেকেই সফলতা অর্জন করতে চাই।তাই সফলতা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্র নিম্নরূপ আলোচনা করা হলো :- ১ .প্রচুর বই পরতে হবে। সেস...
-
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে—২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা স্নাতকসহ বেকারদের সংখ্যা ছিল নয় লাখ ছয় হাজার। এক ...
-
রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী। বিভাগ : দর্শন; সম্মান তৃতীয় বর্ষ ; শিক্ষাবর্ষ:২০২১-২০২২;